আয়নীকরণ শক্তি হলো একটি নিরপেক্ষ পরমাণু থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি। পরমাণুর আকার এবং আয়নীকরণ শক্তির মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে যা পরমাণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পরমাণুর আকার এবং আয়নীকরণ শক্তির সম্পর্ক
পরমাণুর আকার বড় হলে এর বাইরের ইলেকট্রন পরমাণুর কেন্দ্রে থাকা নিউক্লিয়াস থেকে বেশি দূরে থাকে। ফলে, নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক আকর্ষণ শক্তি বাইরের ইলেকট্রনের ওপর তুলনামূলকভাবে কম কাজ করে। এটি আয়নীকরণ শক্তিকে কমিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, ছোট আকারের পরমাণুর ক্ষেত্রে বাইরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থান করে। ফলে, ইলেকট্রনকে অপসারণ করতে বেশি শক্তি প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ আয়নীকরণ শক্তি বেশি হয়।
পর্যায় সারণিতে ধারা অনুযায়ী পরিবর্তন
১. উপর থেকে নিচে গেলে:
পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আয়নীকরণ শক্তি কমে যায়। কারণ বাইরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে দূরে অবস্থান করে এবং পর্দাপ্রভাব (shielding effect) বাড়ে।
২. বাম থেকে ডান দিকে গেলে:
পরমাণুর আকার ছোট হয় এবং নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি বাড়ে। এতে আয়নীকরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রধান কারণসমূহ
Read more